ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা | e cap 400

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে যদি আপনি জেনে রাখেন তাহলে ই ক্যাপসুল সেবন করে কিংবা ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারবেন এবং এই ক্যাপসুলের সম্ভাব্য ক্ষতি করে দিক থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। নিচে ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে ডাক্তারগণ এই ওষুধটি প্রেসক্রাইব করে থাকেন। বিশেষ করে আপনার শরীরের যদি ভিটামিনের ঘাটতি থাকে তাহলে ই ক্যাপ আপনার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। 

তবে ই ক্যাপ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত যদি আপনি ক্যাপসুল খান তাহলে কিন্তু তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর যে সকল উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে। 

তাই যদি আপনি ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চান, তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। আসুন দেখে নেয়া যাক, ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ। 

ই ক্যাপ এর উপকারিতা:

  • স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে: ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। আর তাই সাধারণত ডাক্তারগণ ভগ্ন স্বাস্থ্যের রোগীদেরকে ই ক্যাপ ক্যাপসুল প্রেসক্রাইব করে থাকেন। সুতরাং আপনি যদি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে চান, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেতে পাবেন। 
  • এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ই ক্যাপসুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই আপনি যদি এই ক্যাপ ক্যাপসুল খান, তাহলে তা আপনার শরীরে বিভিন্নভাবে উপকার করবে। ই ক্যাপসুল যেহেতু ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, তাই যদি ই ক্যাপ ক্যাপসুল খান, তাহলে তা আপনার শরীরের চাহিদা পূরণ করবে। 
  • ত্বক উজ্জ্বল করে: ত্বক উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেতে পারেন। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই যদি আপনি শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সুস্থ থাকতে চান, তাহলে  ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেতে পারবেন। 
  • হার্ট সুস্থ রাখে: ই ক্যাপ ক্যাপসুল হার্ট সুস্থ রাখে। তাই আপনি যদি নিয়মিত কিছুদিন ই ক্যাপ ক্যাপসুল খান, তাহলে তা আপনার হার্টের ক্ষেত্রে উপকারী হবে। তবে এ ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। নিজে নিজে কখনোই ফার্মেসি থেকে এই ই ক্যাপ ক্যাপসুল করে খাওয়া যাবে না। 

ই ক্যাপ এর অপকারিতা:

  • বমি বমি ভাব ও বমি হাওয়া: আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ই ক্যাপসুল খান সেক্ষেত্রে আপনার বমি ভাব হতে পারে এমনকি বমি হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে দীর্ঘদিন যাবত একে ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • মাথাব্যথা: অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যাপসুল খাওয়ার আরেকটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো মাথা ব্যথা হওয়া। আপনি যদি ওভারডোস ই ক্যাপ ক্যাপসুল খান তাহলে তা আপনার মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • ঘুম ঘুম ভাব: ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর আরেকটি প্রতিক্রিয়া হলো ঘুম ঘুম ভাব। কখনো কখনো অতিরিক্ত পরিমাণে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া: চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়াও ক্যাপসুলের আরেকটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তবে এই ধরনের পাশাপা প্রতিক্রিয়া খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। 
  • হাড়ে ব্যথা হওয়া: কখনো কখনো ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর ওভারডোস এর কারনে হাড়ে ব্যথা হতে পারে। 

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা

ই ক্যাপ 400 মূলত ভিটামিন এ সমৃদ্ধ একটি ক্যাপসুল। তাই শরীরের যেকোনো ধরনের ভিটামিন ই এর ঘাটতি জনিত সমস্যা দূর করার জন্য ই ক্যাপ 400 ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও শারীরিক আরো বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য এই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা সমূহ নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।

  • ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
  • ক্ষত নিরাময় করে।
  • সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
  • চুলের সমস্যা দূর করে।
  • দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।

ই ক্যাপ খেলে কি হয় | ই ক্যাপ কিসের ঔষধ

আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন থাকে যে ই ক্যাপ খেলে কি হয়? বা ই ক্যাপ কিসের ঔষধ? তাহলে আর্টিকেলটির এই অংশটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন দেখে নেয়া যাক ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেলে কি হয়।

  • বয়সের ছাপ কমায়।
  • ব্লাড সার্কুলেশন নরমাল করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • নখের ভঙ্গুরতা রোধ করে।
  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ই ক্যাপ ২০০ এর উপকারিতা

বিভিন্ন পাওয়ারের ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। যেমন: ই ক্যাপ ২০০, ই ক্যাপ ৪০০ ইত্যাদি। শরীরের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ডাক্তারগণ বিভিন্ন পাওয়ারের ই ক্যাপসুল প্রেসক্রাইব করে থাকে। মূলত ই ক্যাপ ২০০ এবং ই ক্যাপ ৪০০ এর উপকারিতা একই। যাই হোক, সাধারণত যে সকল সমস্যার কারণে ই ক্যাপ ২০০ ক্যাপসুলটি খাওয়া যেতে পারে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ফুসফুসের সংক্রমণ কমায়।
  • পেশী বৃদ্ধি করে।
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • ভ্রুনের বিকাশ সাধন করে।

ই ক্যাপ কখন খেতে হয়

ই ক্যাপ ক্যাপসুল কখন খেতে হবে তা আপনাকে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলে দিবে। অর্থাৎ যেই ডাক্তার আপনাকে ই ক্যাপ ক্যাপসুল প্রেসক্রাইব করবে, সেই ডাক্তারই খাওয়ার নিয়ম-কানুন বিস্তারিতভাবে বলে দিবে। 

তবে সাধারনত ই ক্যাপ ক্যাপসুল দিনে দুইবার খাওয়া হয়। অর্থাৎ সকালবেলা খাওয়ার পরে এবং রাত্রিবেলা খাবার পরে। তবে রোগীর সমস্যা এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুযায়ী খাওয়ার নিয়মের পরিবর্তন হতে পারে।

ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ই ক্যাপ ক্যাপসুলের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শক্রমে পরিমিত পরিমাণে নির্দিষ্ট কিছুদিন ই ক্যাপ ক্যাপসুল সেবন করেন তাহলে অবশ্যই উপকৃত হতে পারবেন। 

তবে যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত নিজে নিজেই দীর্ঘদিন যাবত ই ক্যাপ ক্যাপসুল সেবন করেন তাহলে কিন্তু আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

অতিরিক্ত মাত্রায় এই ক্যাপ ক্যাপসুল খেলে যে ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোকপাত করা হলো।

  • চুল পড়া।
  • অস্থিরতা।
  • ক্ষুধা কমে যাওয়া।
  • মুড পরিবর্তন হওয়া।
  • মাসিক অনিয়মিত হওয়া।
  • হাড় দুর্বল হওয়া।

ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের নিয়ম

খাওয়ার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় ই ক্যাপ ক্যাপসুল চুলের ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যদি ই ক্যাপ ক্যাপসুল চলে ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে নিম্ন বর্ণিত নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে আসন দেখে নেয়া যাক, ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের নিয়ম। 

সর্বপ্রথম আপনাকে একটি পরিষ্কার শুকনা পাত্র সংগ্রহ করতে হবে। এরপরে ই ক্যাপ ক্যাপসুল গুলো খুলে ভেতরের ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল গুলো সেই পাত্রে চিপে বের করে নিতে হবে। 

এভাবে আপনি কয়েকটি ই ক্যাপ ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে নিন। এরপর সেই তেলগুলো সরাসরি মাথায় এবং চুলে ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেলগুলো মাথায় ব্যবহার করার পরে ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে যদি আপনি নিয়মিত কিছুদিন ই ক্যাপ ক্যাপসুল মাথায় ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে চুল কালো এবং ঘন হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

আরো পড়ুন