মোটা হওয়ার ঔষধের নাম | ৭ দিনে মোটা হওয়ার ঔষধ
মোটা হওয়ার ঔষধের নাম হলো: Multivit Plus, Orioplex-M, Solvit-M ইত্যাদি। এই ওষুধগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন কোম্পানির মোটা হওয়ার ঔষধ রয়েছে। সেই ওষুধগুলোর তালিকা নিচে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হবে।
মোটা হওয়ার ঔষধের নাম
মোটা হওয়ার বেশ কিছু কার্যকর ওষুধ রয়েছে। আপনি যদি সঠিক নিয়মে সেই ঔষধ গুলো নিয়মিত কিছুদিন সেবন করেন, তাহলে আশা করি স্থায়ীভাবে মোটা হতে পারবেন। একটি বিষয় মনে রাখার জরুরী, আর তা হল মোটা হওয়া কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় নয়, বরং আপনি যদি একবার মোটা হয়ে যান এর পরে পরবর্তীতে খুব সহজে স্লিম হতে পারবেন না।
সুতরাং জেনে বুঝে এরপরে মোটা হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আপনি যদি একেবারেই রোগা-পটকা হয়ে থাকেন, এবং আপনি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান, সেক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত ঔষধ গুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, মোটা হওয়ার ঔষধের নাম সমূহ।
- Aristovit M
- Envit-M
- Multivit Plus
- Opsovit MM
- Orioplex-M
৭ দিনে মোটা হওয়ার ঔষধ
শরীর চিকন থাকলে বা জীর্ণ-শীর্ণ থাকলে বন্ধুবান্ধবসহ পরিচিত আত্মীয়-স্বজন যারা রয়েছে তারা অনেক সময় টিটকারি করে। তাছাড়া শরীর চিকন থাকলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শারীরিক দুর্বলতা, মাথাব্যথা, হাত-পা ব্যথা ইত্যাদি। আর তাই স্বাস্থ্যবান শরীর সবসময়ই কাম্য।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মোটা হওয়া কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্যবান হতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত মোটা হওয়া যাবে না। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে সাত দিনে মোটা হওয়ার কোন ফর্মুলা বা ঔষধ নেই।
যদি কোন ব্যক্তি আপনাকে ৭ দিনে মোটা হওয়ার কোন ঔষধ প্রদান করে, তাহলে নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন যে সে আপনার চরম ক্ষতি করে ফেলল। কেননা সাতদিনে মোটা হওয়ার যে সকল ঔষধ বাজারে প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো মূলত খুবই ক্ষতিকর এক জাতীয় কেমিক্যাল যা কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে শরীরে পানির উপস্থিতি বৃদ্ধি করে শরীরকে মোটা দেখাবে।
তাই সাত দিনে মোটা হওয়ার চিন্তাভাবনা অবশ্যই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। আপনি যদি দীর্ঘস্থায়ীভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে অনুসরণ করে মোটা হতে চান, তাহলে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে। তবে সব থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনি সামান্য উন্নতি দেখতে পাবেন। যাইহোক দ্রুত এবং স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার যে সকল সিরাপ রয়েছে সেগুলোর তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।
- Kiditonic
- Livwel
- Multitonic
- Vitalgin
- Vitora
- Zovia Gold
মোটা হওয়ার উপায় | আমি মোটা হবো কিভাবে
মোটা হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খেতে হবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে হবে। যে সকল উপায় অবলম্বন করে খুব সহজেই আপনি মোটা হতে পারবেন, সেই উপায়গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।
- ক্যালোরি যুক্ত খাবার খান: আপনি যদি মোটা হতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অধিক পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। অধিক পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে অল্প সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে মোটা হতে পারবেন।
- দিনে কয়েকবার খাবার গ্রহণ করুন: দিনে শুধু তিনবার নয় বরং পাঁচ থেকে ছয়বার খাবার খেতে হবে। আপনি যদি দিনে চার-পাঁচবার খাবার খান তাহলে খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন। সুতরাং মোটা হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
- চর্বিযুক্ত খাবার খান: চর্বিযুক্ত খাবার খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায়। তাই দ্রুত মোটা হতে চাইলে যে কোন চর্বিযুক্ত মানুষের বেশি বেশি খেতে হবে। নিয়মিত কিছুদিন যদি আপনি চর্বিযুক্ত খাবার খান তাহলে দেখা যাবে, আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে।
- ব্যায়াম করুন: নিয়মিত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি মোটা হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম না করেন, তাহলে কিন্তু স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন না। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করুন।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন: মোটা হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে আপনার সাস্থ্যের উন্নতি হবে না। তাই বেশি বেশি পানি পান করুন।
স্থায়ী মোটা হওয়ার ঔষধ
স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু ঔষধ রয়েছে। সেই ওষুধগুলো ধীরে ধীরে কাজ করে এবং স্থায়ীভাবে শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে। তাই যদি আপনি স্থায়ীভাবে নিজেকে স্বাস্থ্যবান করতে চান, তাহলে এই ঔষধ গুলো আপনার জন্য পারফেক্ট।
টোটকা জাতীয় ঔষধ সেবন করলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়ে যাবেন আবার ঠিক তেমনিভাবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে শীর্ণ হয়ে যাবেন মাঝখানে আপনার শরীরের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার ওষুধ সেবন করাই উচিত। সবথেকে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার ঔষধের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।
- Placent-M
- Revital
- Solvit-M
- Univit-Plus
- V-Plex Plus
- Vitachild
কি খেলে মোটা হওয়া যায়
বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে, যেই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মোটা হতে পারবেন। আপনি যদি মোটা হওয়ার ঔষধ সেবন করার মাধ্যমে শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করেন তাহলে কিন্তু তারপর পরবর্তীতে আপনার শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে।
পক্ষান্তরে যদি আপনি প্রাকৃতিকভাবে খাবার খেয়ে নিজের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেন তাহলে কিন্তু তা কোন ধরনের ক্ষতির কারণ হবে না। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা বাঞ্ছনীয়। যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক মোটা হওয়ার খাবার সমূহ।
- ঘি
- বাদাম
- ড্রাগন ফল
- মরিঙ্গা পাউডার
- সিয়া সিড
- মিষ্টি জাতীয় খাবার
- মাংস
- দুধ
- ডিম
- মিষ্টি আলু
- ভাত
- মাছ
- ডাল
- মুরগির
- মাংস
মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ
আপনি যদি প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরণ করে স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক, প্রাকৃতিকভাবে মোটা হওয়ার কার্যকর উপায়।
- ননী যুক্ত দই খাওয়া: মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ হলো ননিযুক্ত দই খাওয়া। ননিযুক্ত দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায়, তা নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। সুতরাং কোন ধরনের ঔষধ ছাড়াই যদি আপনি মত হতে চান, তাহলে নিয়মিত ননিযুক্ত দই খেতে পারেন।
- ড্রাই ফ্রুটস: প্রাকৃতিকভাবে মোটা হওয়ার জন্য ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। ফলে মিশ্রিত শুকনো ফল স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
- পনির: শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে পনির খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি আপনি অল্প সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে নিয়মিত খেতে পারেন। নিয়মিত কিছুদিন পনির ফিরে আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আশানুরূপ ফলাফল পাবেন।
- খেজুর এবং দুধ: প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে কয়েকটি খেজুর মিশ্রিত করে খেলে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তাই যদি আপনি স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত খেজুর এবং দুধ খেতে হবে।
- এভোকাডো: এভোকাডোতে বিভিন্ন ধরনের ক্যালরি রয়েছে। আর তাই এভোকাডো খেলে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।